যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ও নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
রণজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নামে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ছিল ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা সোনা। পরে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, তার ছেলে রাজিব কুমার রায় প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করতেন। তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়িও রয়েছে। এই এমপির পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
অন্যদিকে, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। আয়শার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়া বাজারে বহুতল ভবন, ভূইয়ার হাট নামক স্থানে তিনতলা বাড়ি, পুশালী বাজারে চারতলা মার্কেট। তার স্বামীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, ব্যাংকে টাকা, গাড়ি এবং মৎস্য ব্যবসাসহ নানান সম্পদ রয়েছে।
২০০৯ সালের পূর্বে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না। পরে এমপি নির্বাচিত হয়ে তার নিজ নামে ও নির্ভরশীলদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :