ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পর রিট করলেন এই আইনজীবী। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টে এ রিট দায়েরের আগে এক লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
এতে বলা হয়, ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে।
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয় বলেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :