AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গুলশান থানার সাবেক ওসি ৪ দিনের রিমান্ডে


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:২২ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
গুলশান থানার সাবেক ওসি ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে ২০১৩ সালে বালুর ট্রাক রাখার ঘটনার মামলায় গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইসপেক্টর রায়হানুল ইসলাম সৈকত রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

ট্রাক রাখা ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নাগরিক অধিকার হরণের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনকে আসামি করে গত ৪ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লতিফ হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শরিফুল ইসলাম শাওন।

মামলার এজহারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে এক নম্বর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এজহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অবৈধ নির্বাচন কমিশন দ্বারা সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের রূপরেখা হিসেবে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ বিএনপি সমাবেশের ডাক দেন। যেখানে খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

এর আগেই ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে বালুভর্তি পাঁচ-ছয়টি ট্রাক বেগম খালেদা জিয়ার ফিরোজা বাসভবনের গেটের সামনেসহ আশপাশে অবৈধভাবে এলোমেলো করে রেখে উল্লিখিত আসামিরা রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান-২ এর ফিরোজা বাসভবনের গেট বন্ধ করে দেয়। বেগম খালেদা জিয়া যেন সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সে জন্য রাস্তার ওপরে ত্রাস সৃষ্টি করে গণতন্ত্র অধিকারকে হরণ করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

এতে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা গোপন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হয়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা মারণাস্ত্র, লাঠি, বন্দুক, টিয়ারশেলসহ যুদ্ধক্ষেত্রের মতো সজ্জিত হয়ে গুলশান-১ ও ২, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস ও আমেরিকান দূতাবাসসহ আশপাশের এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ ২৮ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান নেয়। সঙ্গে অস্ত্রের মহড়া দেয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। সে সময় আশপাশের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর ও গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!