সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন চট্টগ্রাম আদালতে নথি হারানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এই ঘটনা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এমন পরিস্থিতি বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই মামলাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হত্যা মামলা, পাশাপাশি মাদক, চোরাচালানসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এসব গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি বস্তায় করে আদালতের বারান্দায় রেখে দেওয়া হয়েছিল, যা একেবারেই অবহেলার পরিচয়।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নথি গায়েবের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করাই যথেষ্ট নয়; এ বিষয়ে মামলা করতে হবে। চট্টগ্রামের আদালতের নথি গায়েবের ঘটনা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিশেষ করে, এই নথিগুলো সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বারান্দায় রাখা হয়েছিল কিনা, সেটি তদন্ত করে বের করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হয়ে গেলে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন, যা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি করবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নথি গায়েবের মতো ঘটনা রোধে দ্রুত বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে আইনজীবীদের মধ্যে একটি প্রশ্ন রয়েছে—বিচার বিভাগ কার অধীনে? এটি কি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, নাকি প্রধান বিচারপতির অধীনে? যদি আইন মন্ত্রণালয় প্রধান বিচারপতির ‘কনসার্নে’ কাজ করার কথা বলে, তবে সেটি যথাযথ নয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, অতি দ্রুত একটি বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন করা হোক। যদি এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হওয়ার মতো ঘটনা আর ঘটবে না এবং বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন।”
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :