ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা যায়। দুদক জানায়, জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রীর আটটি ব্যাংক হিসাবে ১২০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়াউল আহসান, তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হন। সেই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যমে পরিচিত নাম।
কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র্যাবেই রেখে দেয়া হয়। আর ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। ২০১৭ সালে এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :