AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই সময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়া এবং ছেড়ে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত পূর্বনির্ধারিত বিষয়ের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী || Bahanno News

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, “নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ”। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোনো চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলির কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদের জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহিদদের মরদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি। অনেককে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়নি। এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেলেও অনেকের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা যাওয়ার কথাটি লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট বা জ্বরে মারা গেছে এমন কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়াও আন্দোলনে শহিদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে এমন খবর জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণও করেছে।

পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের পাশে প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক গনমুক্তি

শুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, শহিদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই? আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে, সেই মুহূর্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত শহিদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই এ কারণে তাদের কোনো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়, বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে, কী ধরনের নিষ্ঠুরতার সঙ্গে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল!’

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিকের পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আদালতে হস্তান্তর করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস

Link copied!