রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ জনই শিশু। পুলিশ তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) আসামিদের আদালতে হাজির করে পৃথক দুই আবেদনে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে কাবিকো কনষ্ট্রাকশন লিমিডেট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অফিস সন্দেহে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় ৩ লাখ টাকা ও চারটি কম্পিউটার লুট করা হয় এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। আটকদের কাছ থেকে নগদ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পিয়ন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গতকাল ৭ মার্চ পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের ৩য় তলায় কাবিকো কনস্ট্রাকশনে এজাহারনামীয় সকল আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জন আসামি পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এসময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষনাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অফিসে থাকা ৪টি ডেস্কটপ যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে উদ্ধার করে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :