পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন।
অন্য ১৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট, অর্থাৎ মোট ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন ও গ্রহণ করেন। যা দুর্নীতির শামিল এবং দণ্ডযোগ্য অপরাধ। এই বরাদ্দের পেছনে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিরুদ্ধেও ধাপে ধাপে মামলা করা হবে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে করা প্রথম মামলা হিসেবে চিহ্নিত।
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :