বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘ এবং সুখের করে তোলা আজকের জটিল জীবনযাপনে খুব সহজ নয়। এর স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনকেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কারণ এক হাতে তালি সত্যি বাজে না। শুধু আপস করার দিকে মেয়েরাই করে যাবে, সেই ছবিও আজ অচল। তাই একই ছাদের নীচে দিনযাপনে দু’জনকেই ভাবতে নিজের কথা এবং একইসঙ্গে সঙ্গীর কথাও।
বিবাহিত জীবন কীভাবে সুখের ও দীর্ঘ হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন মনোবিদ জাগৃতি শর্মা। এক ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন কিছু বেসিক টিপসের কথা৷ যা মানতে হবে স্বামী স্ত্রী দু’জনকেই। কঠিন নয় সেই টিপসগুলি। একবার মানতে শুরু করলে জীবন সহজ হতে বাধ্য৷
স্বামী স্ত্রী দু’জনের মধ্যেই যোগাযোগ সহজ ও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার জায়গাটা থাকতে হবে। এবং কথা মানে শুধুই নিজেরটা বলে যাওয়া নয়। অন্যেরটা শোনাও৷ স্পষ্ট সংলাপে দূর হয় সমস্যা। কেটে যায় জটিলতা। মনের ভাব ও আবেগ আদানপ্রদানেও বাধা থাকে না।
অবাস্তব চাহিদা বর্জন করতে হবে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বিলাসিতা যেমন সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই সাংসারিক কাজে পান থেকে চুন খসবে না, সেটা আশা করাও ঠিক নয়৷ বুঝতে হবে দুজনকেই।
মনের ছোঁয়া ও যোগাযোগটুকু বজায় রাখতে হবে৷ মনের টান যদি বজায় থাকে তাহলে শারীরিক দূরত্বও হার মানতে বাধ্য। দিনভর কাজের মধ্যে একে অন্যের ছোট ছোট ভালমন্দের দিকে খেয়াল রাখুন। মনের টান তৈরি হয়ে যাবে।
অর্থ ছাড়া সংসার যেমন অচল, তেমন অর্থই অনর্থের মূল৷ যদি দুজনে কর্মরত হন, সংসারে কে কত টাকা কোন খাতে খরচ করবেন, সে নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। যদি এক জন উপার্জনকারী হন, তাহলেও এই বিষয়ে স্পষ্ট কথা হয়ে থাকা দরকার।
দুজনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিশ্বাসের বন্ধন ভাঙলে চলবে না। তাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব এলেও সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে বিশ্বাসের বন্ধন অটুট হবে৷ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে না।
একুশে সংবাদ/ট.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :