ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা স্বাভাবিক রাখতে ঘাম হয়। এ ছাড়া ঘামের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন বর্জ্য বেরিয়ে যায়। গরমের দিনে ঘাম হওয়া অতি সাধারণ বিষয়। তবে এটা জানেন কি, শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ কখনোই ঘামে না!
আর সে স্থান হলো ঠোঁট। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের ঠোঁট কখনো ঘামে না। এর কারণ হলো ঠোঁটে ঘাম গ্রন্থি নেই! আর এই কারণেই ঠোঁট তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। আর ঠোঁটের আদ্রভাব বজায় রাখতে পেট্রোলিয়ম জেল ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
মানুষের ঠোঁট একটি স্পর্শকাতর সংবেদনশীল অঙ্গ। শরীরের চামড়ার তুলনায় ঠোঁট বেশি ফাটে, কারণ এটি মূলত চামড়ার উপরিভাগের খুব পাতলা স্তর। তাই শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হলে শরীর থেকে জলীয় অংশ কমে যায় এবং তখন চামড়ার এই স্তরটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ শুকিয়ে ফেটে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক প্রফেসর মোস্তফা জামান বলছেন, আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগের মতো শীতকাল এখন আর হয় না এবং একই সঙ্গে ঋতুগুলোর বৈশিষ্টেও পরিবর্তন আসার প্রভাব পড়ছে মানবশরীরেও।
তিনি বলেন, এখন গরমও অনেক পড়ছে, যে কারণে অনেকেই পানিশুন্যতায় ভুগছেন। গরমের কারণেই কারও ঠোঁট ফাটছে, আবার কারও কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে। কারণ চামড়া শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। শুষ্কতার কারণে স্কীনের জলীয় অংশ দ্রুত কমে যাচ্ছে। ঠোঁট বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, কারণ ঠোঁটের বাইরের দিকটার চামড়া থাকে খুবই পাতলা ধরনের।
চিকিৎসকরা ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এগুলো হলো- প্রচুর পানি পান করা, ঠোঁটের যত্ন নেয়া, তীব্র সূর্যালোক ও ধুলোবালি এড়ানো, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং প্রয়োজনে ভ্যাসলিন ব্যবহার করা।
একুশে সংবাদ/এপি
আপনার মতামত লিখুন :