প্রসাধনী কিংবা রূপচর্চার কথা বললে প্রথমে মেয়েদের কথাই মাথায় আসে। তবে পুরুষেরাও আর পিছিয়ে নেই। যদিও অনেক পুরুষ আছেন, যারা বছরের অন্য সময়ে নিয়ম করে ক্রিম, টোনার, স্ক্রাবার মাখেন না। কিন্তু শীত পড়ার আভাস পেলেই মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখেন। বিশেষ করে দাড়ি কামানের আগে।
সামনেই তো ‘নো সেভ নভেম্বর’। কারণ, শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবহাওয়ার রুক্ষ ভাব গালে থাকা দাড়িকে আরও কঠিন করে তোলে। তাই শেভ করার আগে তা নরম করে রাখার প্রয়োজন বোধ করেন অনেকেই। দাড়ি কাটার জন্য ক্রিম, জেল বা ফোম ব্যবহার করার চল রয়েছে। কিন্তু কোনটি ব্যবহার করলে ঠান্ডার সময়ে দাড়ি কাটার কাজটি সহজ হবে, তা বুঝতে পারেন না অনেকে।
এই বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, ফোম এবং ক্রিমের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নেই। ফোম আগে থেকে তৈরি করা থাকে। তাই এই উপাদানের ভিতরে বাতাসের পরিমাণ থাকে বেশি। ফলে ফোম ব্যবহার করে শেভ করার পর ত্বকে জ্বালা অনুভব হয়।
অন্যদিকে, ক্রিমের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি থাকে না। কারণ, ক্রিমের মধ্যে ময়েশ্চারাইজ়ারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই প্রসাধনীটি ব্যবহার করলে অনেকেই দাড়ি কামানোর কষ্ট বুঝতে পারেন না। আবার ত্বক স্পর্শকাতর হলে দাড়ি কাটার পর র্যাশ, ফুসকুড়ি বা ব্রণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে জেল ব্যবহার করাই শ্রেয়।
তবে জেল, ক্রিম বা ফোম- কে কোনটি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির ত্বকের ধরনের উপর। কারও ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রেও জেল ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কারও ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে শেভিং ক্রিম ব্যবহার করাই ভাল। বাইরে ঘুরতে গেলে বা চটজলদি দাড়ি কামানোর ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ফোম ব্যবহার করাই যায়। দাড়ি কামানোর পর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ‘আফটার শেভ’ বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার পরামর্শ দেন ত্বকের চিকিৎসকেরা।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :