দু’ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি এক রকম। তাই কোনটির উৎস কী, তা বোঝা খুব সহজ নয়। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করতে এই ফাঙ্গাল নিউমোনিয়ার জুড়ি মেলা ভার। এই ধরনের নিউমোনিয়া প্রাণহানির সম্ভবনাও বাড়িয়ে তোলে।
চিকিৎসকেদের মতে, এই ফাঙ্গাল নিউমোনিয়া কিন্তু সংক্রামক নয়। সাধারণত বাতাসে মিশে থাকা ছত্রাক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করলে, সেখান থেকে বিপদ ছড়ায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বায়ুদূষণের প্রভাবেও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণাও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তুলতে অনুঘটকের মতো কাজ করে। তাই শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিপদের তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ফাঙ্গাল নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
১) ছত্রাক বা ভাইরাসঘটিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে সাধারণত দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে জ্বর আসা স্বাভাবিক। কারও কারও ক্ষেত্রে জ্বরের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
২) সপ্তাহ দুয়েকের বেশি কাশি হলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তবে ফাঙ্গাল নিউমোনিয়া হলে বুকে কফ জমার পরিমাণ বেড়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
৩) সর্দি, কাশি, জ্বরের সঙ্গে অনেকেরই বুকে ব্যথা হয়। শ্বাস নেওয়ার সময়ে বা ভারী কিছু তুলতে গেলে পাঁজরের আশপাশে ব্যথা হতে পারে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :