শীতের সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। কারণ ঠান্ডায় শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুরা ত্বকের নানা সমস্যাসহ আক্রান্ত হয় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথায়। এ ছাড়াও এই সময় শিশুর নিউমোনিয়ার মত রোগেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক ও ধুলাবালি থাকার কারণেই শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়। তাই অন্যান্য সময়ের চাইতে এ সময়টাতে অভিভাবকদের বেশি সচেতন থাকতে হবে শিশুদের নিয়ে। এ সময় তাই শিশুদের বেশি যত্ন প্রয়োজন।
শীতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে এ সময় অভিভাবকরা যা করবেন তা হলো-
-ঠান্ডা পরিবেশে শিশুকে শীতের পোশাক পরিয়ে শিশুকে গরম রাখা।
-এই সময় শিশুর গোসল কোনোভাবেই বন্ধ করবেন না। বরং হালকা গরম পানিতে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। এবং ত্বকে ময়েশ্চারাইজার।
-গোসল আর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ হয়ে গেলে শিশুকে প্রতিদিন ২০ মিনিটের জন্য সূর্যস্নানে অভ্যস্ত করে তুলুন।
-শিশুকে ঘরের বাইরে নেয়ার সময় ওর মাথা, গলা, কান শীতের পোশাকে ঢেকে তবেই বাইরে বের হন।
-শিশুকে গরম কাপড় পরানোর আগে অবশ্যই একটি সুতির জামা পরিয়ে নিন। শীতের পোশাকগুলো যেন মোলায়েম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
-শীতে শিশুকে হাতে দস্তানা এবং পায়ে অবশ্যই মোজা পরিয়ে রাখুন।
-শিশুর ঘরে যেন সূর্যের আলো পর্যাপ্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
-শীতে বেশিক্ষণ যেন শিশু বাড়ির বাইরে না থাকে কিংবা খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এবং
-চেষ্টা করুন ২ ঘণ্টা পর পর শিশুর ঠোঁটে লিপবাম এবং হাত পায়ে ভেসলিন লাগান। খাবারে প্রাধান্য দিন পানি, সবজি, স্যুপ কিংবা গরম দুধকে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :