খেতে সুস্বাদু হলেও পেস্তা বাদাম নিয়ে ভুল ধারণা অনেকের মনেই বাসা বেঁধে আছে। অনেকেই ভাবেন, নিয়মিত পেস্তা খেলে ওজন বাড়ে, পেট খারাপ হয়। আসলেই কী তাই?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেস্তার রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। যে কারণে নিয়মিতই ডায়েটে পেস্তা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
আসুন এক নজরে দেখে নিই পেস্তার কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা-
১। ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়াম থাকার কারণে পেস্তা পুষ্টিগুণে ভরপুর এক খাবার।
২। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও টোকোফেরলের মতো অনন্য পুষ্টিগুণ পেস্তা বাদামে থাকায় অন্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বেশি।
৩। পেস্তার পুষ্টিগুণ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী।
৪। পেস্তায় ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম, তেমনই এই বাদাম হাইপ্রোটিন সমৃদ্ধ। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় শরীরের জন্য উপকারী অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি।
৫। পেস্তা খাদ্যনালীতে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। একই সাথে শরীরে এনার্জিও বাড়ায়।
৬। রোজ ডায়েটে থাকা পেস্তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৭। পেস্তা রক্তে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকরী।
৮। শরীরে রক্তনালীর সংকোচন, প্রসারণের জন্য দায়ী এন্ডোথেলিয়াম। পেস্তা রক্তনালীর এ এন্ডোথেলিয়ামের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৯। পেস্তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৫৬ গ্রাম পেস্তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ২০-৩০ শতাংশ কমে।
এসব উপকারী গুণ ছাড়াও পেস্তা কিন্তু খেতে ভীষণ মজা। মুখরোচক খাবারে স্বাদ বাড়াতে আর মন ভালো রাখতে স্যালাডে গার্নিশ করে, স্মুদি বানিয়ে বা আইসক্রিমে পেস্তা বাদাম খেতে পারেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :