মানুষের শরীরে দুই ধরণের কোলেস্টেরল থাকে এইচডিএল এবং এলডিএল। এর মধ্যে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এইচডিএল শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল।
অনেক সময় আমরা বুঝিই না আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল ঘর বেঁধেছে। সেই দিক বিবেচনা করে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা অনেক জরুরি। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোঝা সহজ নয়। রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বাইরে থেকে বোঝার উপায় থাকে না।
কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, বাইরে থেকে দেখেও বোঝার উপায় রয়েছে কোলেস্টেরল শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না। পায়ের নখেই ফুটে ওঠে সেই লক্ষণ।
যেসব লক্ষন দেখে বুঝা যায় শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে:
১) পায়ের নখের রং হলদে হতে শুরু করলে সতর্ক থাকতে হবে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে নখ, চামড়ার নিচে তা জমতে শুরু করে।
২) নখের রং দেখে রক্তশূন্য মনে হলে বুঝতে হবে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে রক্তবাহিকা সরু হতে শুরু করেছে। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।
৩) প্রতি মাসে পেডিকিওর করেও পায়ের নখের মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এটিও কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। পাতলা নখ পুরু হতে শুরু করে। নখের আকারও বিকৃত হয়ে যায়।
৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে নখ একেবারেই বড় হতে চায় না। তাই খেয়াল করুন, নখের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে কি না।
৫) নখের তলায় কালো আবরণ পড়েছে? চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে এমনটা হতে পারে। শরীরে সমস্ত অংশে রক্ত চলাচল ভাল না হলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া স্বাভাবিক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :