আট থেকে আশি প্রায় সব বয়সের মানুষই এখন মোবাইল-টিভি-কম্পিউটারে আসক্ত। এসব ডিভাইস যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। তাই এখন মানুষের আধুনিক নানা যন্ত্রের সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটাতে হয়। কিন্তু এগুলোর সংস্পর্শে বেশি থাকলে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ এসব যন্ত্রের সংস্পর্শে থাকার ফলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মনঃসংযোগ কমে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা যায়।
অর্ণব নিয়োগী নামে ভারতীয় এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক জানান, মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে সন্তান এবং অভিভাবকদের মধ্যে প্রায় প্রতি বাড়িতেই দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য অভিভাবকেরা সারাক্ষণই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।
তিনি জানান, দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে চোখে। এর কারণে, মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কাও থাকে। বর্তমানে কাজ থেকে পড়াশোনা সমস্ত ক্ষেত্রেই স্মার্টফোন ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও জানান, সারাদিন কম্পিউটার, টিভি কিংবা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের সামনে কাটছে বহু মানুষের জীবন। এতে স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি চোখেরও ক্ষতি হচ্ছে। স্মৃতিশক্তি প্রখর না হওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসছে দৈনন্দিন। তাই মোবাইল আসক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ টিভির সামনে বসে থাকা উচিত নয়। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মানা উচিত বেশ কিছু নিয়মাবলি।
বর্তমানে ছোট শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব বয়সের ক্ষেত্রেই মোবাইল-টিভি-কম্পিউটার ব্যবহার যেন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট শিশুদের দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটে ল্যাপটপের সামনে কিংবা মোবাইলের সামনে। তেমনই কাজের চাপে, সারাদিন অফিসে ল্যাপটপের সামনে থেকে অনেকে ওঠারই সুযোগ পান না। ফলে অভ্যস্ততা ও কাজের পারপাসে হোক এসব ডিভাইসের অধিক ব্যবহার মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :