সুখী জীবনের চাবিকাঠির নাম হরমোন। কী রকম বিজ্ঞাপনী লাইনের মতো শোনাচ্ছে না? কিন্তু বাস্তব এটাই। শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরই। তাই শরীর ভাল রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা থাকা জরুরি। আচমকাই অনেকটা ওজন বৃদ্ধি কিংবা ওজন ঝরে যাওয়া কিন্তু হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, অ্যাকনে ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব।
এ ছাড়া শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে যৌনসুখেও ভাটা পড়ে। এই সমস্যাকে অনেকেই উপেক্ষা করেন। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঋতুবন্ধের সময়, খাদ্যাভাসের অনিয়ম, অতিরিক্ত মদ্যপান ও কিছু বিশেষ ওষুধের কারণেও মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। এমনটা হলে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন, রইল তার হদিস।
১) ঘুম থেকে উঠেই ফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) ক্ষরণ বাড়ে। বেশির ভাগ লোকেই ঘুম থেকে উঠে আগে ফোন ঘাঁটেন। এই অভ্যাসে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। ঘুম থেকে উঠে অন্তত ৪৫ মিনিট ফোন থেকে দূরে থাকুন। বারান্দায় গিয়ে রোদে বসুন। প্রকৃতি উপভোগ করুন। মেজাজ ভাল হবে।
২) শরীরচর্চা করলেও কিন্তু হরমোনে ভারসাম্য ঠিক থাকে। ঘুম থেকে উঠে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন। স্ট্রেচিং, যোগাসন করলে শরীরের সংবহনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও বিপাকহারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সব মিলিয়ে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
৩) ঘুম থেকে উঠেই অনেকে কফিতে চুমুক দেন। শরীরে হরমোনের সমস্যা থাকলে খালি পেটে কফি না খাওয়াই ভাল।
৪) ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকেন? এই অভ্যাসও হরমোন ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। তাই সকালে ঘুম ভাঙার ৯০ মিনিটের মধ্যে প্রাতরাশ সেরে ফেলাই ভাল। প্রাতরাশে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি রাখতে হবে।
৫) খালি পায়ে হাঁটলেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ভোরবেলা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে, বিপাকহারও বাড়ে। তাই রোজ নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :