‘ভালবাসা নাকি শুধু পিটুইটারির খেলা …’ প্রেম, ভালবাসা, ভাললাগা। প্রথম দিকে বাগানের গাছে নতুন ফুল ফোটার আনন্দ। দিনকে রাত, রাতকে দিন। সব সময়ই চোখে, মুখে প্রেম প্রেম ভাব। সুযোগ পেলেই টুক করে প্রিয়জনের কথা ভেবে স্বপ্নে ভেসে যাওয়া। চুপটি করে মনে মনে হাজারো প্ল্যানিং। এই করব, সেই করব। কিন্তু হঠাৎই এই প্রেমের কপালে যদি জোটে বিচ্ছেদ, দাগার দাগ! তাহলে? হৃদয় ভেঙে খান খান। বুকে অসহ্য ব্যথা। চোখের জল শুকিয়ে গেলেও, বুকের ব্যথা কমে না। আসলে, এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে তিনজন দুষ্টু হরমোন। যার কাজই হল, ভাল থাকার হরমোন অর্থাৎ অস্কিটোকিন এবং ডোপামাইনকে নষ্ট করে, সে জায়গা ঢুকে পড়ে স্ট্রেশ হরমোন করটিসোল, অ্যাড্রিনালিন, নোরাড্রিনালিন হরমোন। আর এদের তাড়ানাতেই যত ব্যথা বুক জুড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা একধরনের স্ট্রেশ। যা কিনা পুরোটাই আবেগের উপর নির্ভর করে। প্রেমের আবেগ থেকে হঠাৎ করে বিচ্ছেদ, এই আবেগকে আরও বেশি করে দেহ সঞ্চার করে। ঠিক সেই সময়ই ওই তিন দুষ্ট হরমোন এসে হাজির হয় শরীরে। শুরু হয় ভাল ও খারাপ হরমোনের মধ্য়ে লড়াই। আর লড়াইয়ের কারণেই বুকে ব্য়থা। এ ব্যথার স্থায়ীত্ব বেশিদিন থাকে না। মন ফের ভাল হরমোনের খোঁজ শুরু করলেই ফের ভাঙা মন জুড়ে যাবে। হবে ব্যথার উপশম! তাই বিচ্ছেদের পর বুকে ব্যথা হলে, ভাল ভাবুন, ভাল থাকুন। অন্যকে ভালবাসার আগে, নিজেকে ভালবাসুন।
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব পাওয়া না পাওয়া থাকে। ব্যথা-বেদনা থাকে। তাই যখনই সেই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য তিনি করছেন। গায়ে মাখবেন না। একবার নিজেকে তাঁর জায়গায় রেখে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তখন আর মনে হবে না, সেই ব্যক্তির মন্তব্যের লক্ষ্য আপনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :