চলছে আমের মৌসুম। বাজারে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের পাকা আম। সারা বছর এসময় অনেকেই আম কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে।
এই সংরক্ষণ করা আম দিয়ে বছরের যেকোনো সময় আমের মিল্কশেক কিংবা দুধ-আম খাওয়া যেতে পারে। ফ্রিজারে আম এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
তবে পুষ্টিবিদেরা জানান, পাকা আম বেশি দিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এতে করে ফলের পুষ্টিগুণ কমে যায়।
দীর্ঘদিন ফ্রিজে আম হিমায়িতকরণ অবস্থায় রাখলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তা আর খাওয়ার যোগ্য নাও থাকতে পারে। তাই আম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
১. পাকা আম বেশি নরম হলে কাগজের প্যাকেটে নিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে ৬ দিন পর্যন্ত নরমাল ফ্রিজে ভালো থাকবে।
২. আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে জিপলক ব্যাগে রাখা যেতে পারে। একটার উপর আরেকটা রাখা যাবে না। স্ট্র দিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ছয় মাস পর্যন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে।
৩. আম ব্লেন্ড করে ছোট মুখ বন্ধ বাটিতে অল্প পরিমাণে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে বের করে জিপলক ব্যাগে নিয়ে ফ্রিজারে সংরক্ষণ করুন। বছরজুড়ে খাওয়া যাবে এই আম।
৪. আম পুরোপুরি পাকলে ফ্রিজে রাখতে হবে। তা না হলে ফলটির স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. পাকা আম বাজার থেকে কিনে আনার পর ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়ে লম্বাভাবে টুকরো করে কেটে রাখা যেতে পারে। আবার আস্ত আমও প্লাস্টিক বাটি বা পলিব্যাগে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারা যায়। তবে এক্ষত্রে আম সংরক্ষণের জন্য যে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের বাটি ব্যবহার করা যাবে না। শুধু ফুড গ্রেড প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করবেন।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :