দুধ:
দুধ ক্যালসিয়ামের উৎস হলেও অনেকে দুধ খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু রাতে দুধ খেলে অবিশ্বাস্য উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধের সঙ্গে যদি দুইটি খেজুর মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ বাড়বে। দুধ ও খেজুর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, আবার হজম ও ভালো ঘুমের জন্যও উপকারী। তাই ছোট বড় সবার রাতে দুধ ও খেজুর খাওয়া উচিত।
খেজুর:
খেজুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। খেজুর খেলে বহু রোগ দূরে থাকে। পাশাপাশি খেজুর যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। বাড়ায় শুক্রাণুর সংখ্যাও। তাই রাতে খেজুর খাওয়া পুরুষদের জন্য বিশেষ উপকারী।
দুধের ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে সেরোটনিনের সূত্রপাত ঘটে। এটা মস্তিষ্কে যে সংকেত পাঠায়, তা স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে। আয়রনে ভরপুর খেজুর, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক সমস্যা কমায়।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা, আর্দ্রতা নিয়ে আসে খেজুর। খেজুরে থাকা অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য শরীরে মেলানিন সংগ্রহ করতে দেয় না। নিয়মিত খেজুর খেলে নারী-পুরুষ উভয়ের ত্বক ভেতর থেকে ভালো থাকবে।
খেজুরে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা অনেক রোগ নিরাময় করে। এটি খেলে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হৃদরোগ নিরাময় হয়। একই সাথে এটি পেটের ক্যানসার এবং আলসারের মতো অবস্থার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। কাজের চাপে শরীর দুর্বল লাগলে কয়েকটি খেজুর খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। খেজুর খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
কলেস্টেরলের কারণে অনেকের হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে তা পান করুন। হার্টের সমস্যা কমবে।
দুধ ও খেজুর উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। দুধ ও খেজুর একসঙ্গে মিশলে আয়রনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দুধের মধ্যে দুটি খেজুর মেশানো হলে সেটি বেশ স্বাস্থ্যকর হয়। এটি মাত্র ১০ দিন খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা উধাও হবে।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :