AB Bank
ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খেজুর খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৭:২৯ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
খেজুর খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা

খেজুর শুধু খেতেই সুস্বাদু না, এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপারফুড। যাঁরা প্রক্রিয়াজাত চিনি বা মিষ্টি খেতে অনিচ্ছুক, তাঁদের জন্য খেজুর সেরা বিকল্প। সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর আছে। খেজুরে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা-


১. পুষ্টিগুণে ভরপুর
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। এতে ভিটামিন বি, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, এবং ফলেটের মতো ভিটামিন রয়েছে। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলও রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

২. ওজন নিয়ন্ত্রণ
যদিও খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, তবুও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খাবার হজমে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়। এছাড়াও, খেজুরে ক্যালোরির পরিমাণ কম হওয়ায় এটি ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।

খেজুর ভালো কি না বুঝবেন যেভাবে


৩. পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলি ভালোভাবে শোষিত হয়।

৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও, খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

৫. চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন রাতকানা, চোখের শুষ্কতা এবং চোখের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।

ইফতারিতে খেজুর: রোজার মাসে এবার যে জিনিসটির দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে - BBC News  বাংলা

৬. হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য
খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। এই উপাদানগুলো হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেজুর খেলে হাড় মজবুত হয় এবং দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

৭. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। যারা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর অত্যন্ত উপকারী।

৮.শক্তি বৃদ্ধি
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, এবং সুক্রোজ রয়েছে। এই প্রাকৃতিক চিনি গুলো শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন বা যাদের কাজের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাবার।

৯. ত্বকের স্বাস্থ্য
খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা গুলো কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক উজ্জ্বল এবং কোমল থাকে।

১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। যারা নিয়মিত খেজুর খান, তারা সাধারণ ঠান্ডা, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকেন।

সৌদি খেজুরের চাষ পদ্ধতি - Agrobangla | Agriculture Information and Ecommerce

১১. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি, যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়। নিয়মিত খেজুর খেলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং চুল সজীব ও উজ্জ্বল থাকে।

১২. অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
খেজুরে আয়রন রয়েছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয় এবং শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালিত হয়।

১৩. লিভারের কার্যকারিতা উন্নতি
খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি লিভারের টক্সিন দূর করে এবং লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর একটি উপকারী খাদ্য।

১৪. গর্ভাবস্থায় উপকারী
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। খেজুর গর্ভাবস্থায় শক্তি বাড়ায় এবং গর্ভধারণের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

 

একুশে সংবাদ/এ

Link copied!