রাতে খাবার খেতে যত দেরি হবে বিপদের আশঙ্কা ততই বাড়বে। স্বাস্থ্যবিষয়ক কানাডার নিউট্রিশন পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন অফিসের গবেষকরা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
দেরি করে রাতে খাওয়ার কারণে রাতে খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকে না। যার কারণে এ সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়।
কী কী সমস্যা হতে পারে আপনার শরীরে?
১. ওজন বৃদ্ধি: বেশি রাতে খাওয়া বিশেষ করে উচ্চ ক্যালোরি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে। শরীর রাতে কম সক্রিয় থাকে, ফলে খাবারের ক্যালোরি পুড়তে পারে না এবং এটি ফ্যাট হিসেবে জমা হতে পারে।
২. হজমের সমস্যা: রাতে দেরি করে ভারী খাবার খাওয়া হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন অম্লতা, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালা এবং বদহজম। এটি বিশেষ করে ঘুমের সময় বিরক্তি সৃষ্টি করে।
৩. ঘুমের সমস্যা: বেশি রাতে ভারী খাবার খেলে ঘুমের মান কমে যেতে পারে। হজম প্রক্রিয়া চলাকালীন শরীরের আরাম করা কঠিন হয়ে যায়, ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং রাতে সঠিকভাবে বিশ্রাম হয় না।
৪. রক্তের শর্করা এবং ইনসুলিনে প্রভাব: বেশি রাতে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি: রাতে খাবার খেয়ে দ্রুত শুয়ে পড়লে পেটের এসিড ওপরে উঠে এসে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে। এটি বুক জ্বালাপোড়া এবং গলা জ্বালার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
৬. হৃদরোগের ঝুঁকি: রাতে দেরি করে খাবার খাওয়ার ফলে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. মেটাবোলিজমের ধীরগতি: শরীরের মেটাবোলিজম রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে কাজ করে। ফলে বেশি রাতে খাওয়া খাবার পুরোপুরি হজম হতে সময় নেয়, যা ফ্যাট জমার দিকে পরিচালিত করে।
৮. মানসিক চাপ বৃদ্ধি: রাতে বেশি খাওয়া মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, কারণ খাওয়ার অভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে শরীরে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :