সাম্প্রতিক সময়ে এটি অনেকের কাছে একটি পছন্দের পানীয় হয়ে উঠেছে। পরিচিত নাম অ্যাপল সিডার ভিনেগার (ACV)। গাঁজন করা আপেলের রস থেকে তৈরি এই পানীয় প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিত। এটি হজমের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের জন্য সত্যিই ভালো কি না? অথবা আপনি কি শুধু অন্যের কথা শুনেই অনুসরণ করে গেছেন?
কেন আপনার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের পরিপাকতন্ত্র আমরা যে খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করি তা থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের কোষ তৈরি এবং মেরামত করতে সাহায্য করে, যা আমাদের সারাদিন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার শক্তি দেয়। আমরা যদি আমাদের হজমের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করি, তবে এটি আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এটি কেবল পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি করে না, সেইসঙ্গে শরীরে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্লান্তি এবং প্রদাহের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার আপনার পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। তাদের মতে, ACV দ্বিগুণ ফার্মেন্টেড এবং অ্যালকোহলের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীতে, খালি পেটে এই ট্যাঞ্জি অমৃত খাওয়া আসলে আপনার অন্ত্রের ভালো চর্বি আস্তরণকে দূর করতে পারে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করলে শুরুতে আপনাকে দ্রুত ফলাফল দিতে পারে, তবে পরবর্তীতে এটি ত্বকের ব্যাধি সহ স্বাস্থ্যের গুরুতর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করতে পারে। তাই এই পানীয় পান করার আগে কতটুকু এবং কখন গ্রহণ করা যাবে তা জানা জরুরি।
অ্যাপল সিডার ভিনেগারের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা কী?
অ্যাপল সিডার ভিনেগার পাচনতন্ত্রের জন্য সর্বোত্তম নয়, কিন্তু এটি অন্যান্য সুবিধা দেয়। যারা ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বা স্বাস্থ্যকর ত্বক বা চুল অর্জন করার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগার দুর্দান্ত সহায়ক হতে পারে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে অ্যাপল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে পানিতে ১ চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি অ্যাসিডিটি প্রবণ হন তবে খাবারের মধ্যে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। মনে রাখবেন, ডায়েটে কোনো পরিবর্তন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো।
একুশে সংবাদ/ঢা.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :