আত্মবিশ্বাস না থাকলে কখনোই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য নির্ধারণ করে আত্মবিশ্বাসকে অন্যতম স্তম্ভ মনে করা হয়। তবে এটি কেউ জন্ম থেকে পেয়ে যায় না বরং নিজের ভেতরে তৈরি করতে হয়। আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য নিজেকে ভালোবাসতে হয়। নিজে যেমন, তেমন করেই নিজেকে গ্রহণ করতে জানতে হয়। এভাবে কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে জীবনের সমস্ত চ্যালেঞ্জকে সহজে মোকাবিলা করার জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আত্মবিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য-
১. নিজেকে বুঝতে পারা
আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা তাদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলো গ্রহণ করতে জানে। তারা তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে জানে। যে কারণে অন্যের সামান্য প্রশংসায় গলে যায় না কিংবা কটু কথায় ভেঙে পড়ে না। ভুল করলেও তারা সেই ভুল স্বীকার করার সাহস রাখে এবং নিজেকে শুধরে নিতে জানে।
২. লক্ষ্য এবং অর্জন
আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অর্জনের অভ্যাস থাকা জরুরি। আত্মবিশ্বাসীরা সব সময় যুক্তিসঙ্গত, অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সেগুলো অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। যেকোনো কাজে তারা হাল ছেড়ে দেয় না। বরং ব্যর্থ হলেও বারবার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এইভাবে সাফল্যকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণ করে তোলে।
৩. শেখার অভিজ্ঞতা হিসাবে ব্যর্থতা
ব্যর্থতাকে পরাজয় হিসেবে দেখার পরিবর্তে, শেখার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। তারা জানে যে ব্যর্থতা বৃদ্ধি এবং উন্নতির অংশ। হাল ছেড়ে না দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের দক্ষতা এবং কৌশলকে উন্নত করে। এই ধরনের মানসিকতা তাদের সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা এনে দেয়।
৪. অন্যদের সঙ্গে ইতিবাচক কথা
অন্যদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলছেন তা কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা ইতিবাচক কথা বলেন, যা তাদেরকে অন্যের কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্য করে তোলে। এই অভ্যাস তাদের সক্রিয় মনোভাবকে উৎসাহিত করে।
৫. ব্যক্তিগত উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নিজের উন্নতি করা আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিদের সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। তারা তাদের বিভিন্ন দক্ষতা এবং জ্ঞান আপগ্রেড করতে কাজ করে। তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জানে। এটি তাদের সক্ষমতা এবং সেইজন্য তাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
একুশে সংবাদ/ঢা.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :