AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গরমে পান করুন দেশি ফলের জুস


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৩:৫৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
গরমে পান করুন দেশি ফলের জুস

চারিদিকে গরম আবহাওয়া।এ সময় গরমে হাঁসফাঁস লাগলে নিয়মিত পান করুন দেশি ফলের শরবত, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।এ সময় রোগব্যাধির হাত থেকে ফলের জুস শরীরকে রক্ষা করতে পারে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে দেহে সব পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় আছে কিনা, সে বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার।

দেহের উপাদানের কথা বলতে সবার আগে যে উপাদানটির কথা আসে, তা হলো প্রোটিন। দেহের শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস এ প্রোটিন। প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে অনেক খাবারই আমরা খেয়ে থাকি। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিনের অভাব দূর করতে বিভিন্ন ফলের জুসও দারুণ ভূমিকা রাখে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফলের জুস বানাতে পারেন খুব সহজেই।

কিন্তু কী কারণে ফলের জুস পান করবেন না? চলুন জেনে নেয়া যাক।

১. সাধারণ ফলে যে পরিমাণ আঁশ থাকে তা ফলের জুসে নষ্ট হয়ে যায়। এতে ফলের উপকারী গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও জুসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য যুক্ত করা হয় বাড়তি চিনি; যা দেহে বাড়তি মেদ জমাতে সহায়তা করে। আবার পরিপাকেও জটিলতা সৃষি্ট করতে পারে।
২. ফলের জুসের অতিরিক্ত চিনি থেকে বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপকারী উপাদান ধ্বংস হয়ে যায়।

গরমে পান করুন লেবুর শরবত। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ লেবুর শরবত খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর, সেই সঙ্গে দেহের পানির চাহিদাও পূরণ হবে।বাজারে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। খেতে পারেন আমের জুস। জুস তৈরিতে লাগবে চারটি পাকা আম, মধু ৩ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, দুধ বা পানি ৬ কাপ ও বরফ কুচি। আম কুচি করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে আমের সঙ্গে মধু, দুধ অথবা পানি ও আইসক্রিম দিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে এনার্জি তৈরি করে দেয়। গরমে যারা বেশী ঘামেন তারা প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খান। শরীর ঠান্ডা হবে শরীরে পানির অভাব পূরণ হবে এবং শরীর দুর্বল হবে না। যারা ঘন ঘন সর্দি বা ঠান্ডায় আক্রান্ত হন তারা তরমুজ খান উপকার পাবেন। যাদের জ্বর তারা তরমুজ বা তরমুজের রস বা তরমুজের শরবত খান জ্বরের তীব্রতা কমে আসবে। তরমুজে ২১ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, বি৫ এবং বি৬ আছে। সাধারণ মানুষ নিয়মিত তরমুজ খেয়ে অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে পারেন। তরমুজে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তারাও তরমুজ খেয়ে উপকার পেতে পারেন। আরেকটি বিষয়, তরমুজ ফুসফুস সুস্থ রাখতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

একটি মাঝারি আকারের আপেলে (আনুমানিক ১৮২ গ্রাম) রয়েছে ক্যালোরি- ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ২৫ গ্রাম, ফাইবার ৪ গ্রাম, ভিটামিন সি প্রায় ১৪%, পটাসিয়াম ৬%, ভিটামিন কে ৫%, ম্যাঙ্গানিজ, তামা এবং ভিটামিন এ, ই, বি-১, বি-২ এবং বি-৬ রয়েছে। আপেল পলিফেনলের একটি সমৃদ্ধ উৎস। আপেলের জুসে প্রচুর ফাইবার এবং পানি রয়েছে। ফলে অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। গবেষকদের ধারণা. আপেল সহজে পেট ভরিয়ে দিলেও এতে তুলনামূলক কম ক্যালোরি থাকে। কাজেই আপেলের জুস ওজন কমানোর জন্য উপযোগী।

আঙুরের রঙ কালো, নীল, সোনালী, সবুজ, বেগুনি-লাল, বা সাদা হতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরে রয়েছে ক্যালরি ২৮৮ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৮.১ গ্রাম, চর্বি ০.১৬ গ্রাম, প্রোটিন ০.৭২ গ্রাম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ০.৪৬৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৩.২ মিলিগ্রাম। এতে আছে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৩৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৭ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম ও জিংক। আঙুরের জুস রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে টরোস্টেলবেন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে যা কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যাজমার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া বদহজম, মাথাব্যথা, চোখের রোগ, কিডনি রোগ, ত্বকের বলিরেখা ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় আঙুরের জুস।

টমেটোতে রয়েছে বহুমুখী পুষ্টি উপাদান। দামে সস্তা ও সব সময় টমেটো পাওয়া যায়। টমেটো সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। তবে এটি দিয়ে জুসও বানানো যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, টমেটোতে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-এ, বিটাক্যারোটিন, লাইকোপেন, ফলিক অ্যাসিড, শর্করা ও পানি থাকে। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েব জার্নালে বলা হয়েছে, টমেটো ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদানগুলি দেহে ফ্রি-রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। টমেটো জুস চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হার্ট ভালো রাখে। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, দাঁতের মেলানিন উন্নতকরণসহ নানা ভাবে শরীরকে সহায়তা করে।

গরমের মধ্যে পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী। এছাড়া এটি ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর করতে দারুণ ভাবে উপকারী। পেঁপে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

এই গরমে ফলের জুসের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। তাই জুসের পরিবর্তে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এতে ঝামেলা কম কিন্তু উপকার বেশি।
 

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!