পুরুষেরা চুলের যত্ন বলতে শ্যাম্পু করা আর চুল বড় হলে ছেঁটে ফেলা এটুকুই বোঝেন। শীতকালে শুধু এটুকু নিয়ম মানলেই চলবে না। মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষদের চুলের জন্যও এসময় বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
চুল ধোয়া
সপ্তাহে অন্তত দুই-তিনদিন শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পুর পর একটি ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অনেকে মনে করেন, কন্ডিশনার শুধু মেয়েদের ব্যবহারের জন্য। এটা ভুল ধারণা। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য সবারই চুলের আগায় সিলিকনমুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
অ্যালোভেরা জেল
ছেলেদের চুলের স্টাইলিংয়ের জন্য বাজারে অনেক ধরনের হেয়ার ক্রিম বা জেল পাওয়া যায়। এতে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। বিকল্প হিসেবে শীতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজের তেল
তেল নিয়েও ছেলেদের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা কাজ করে। অন্যদিকে ছেলেদের চুলের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হচ্ছে চুল পড়া। এই চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস বা পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
খুশকি রোধে লেবু
ছেলেদের চুলের খুশকি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এ সময় অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু বেছে নিন। এ ছাড়া দুই টেবিল চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে দুই থেকে পাঁচ মিনিট মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
ছত্রাক প্রতিরোধ
ছেলেদের দীর্ঘসময় বাইরে কাটাতে হয়। বিশেষ করে যারা বাইকে চলাফেরা করেন, হেলমেটে ঢাকা থাকায় তাদের মাথা ঘামেও বেশি। এতে মাথার ত্বকে খুশকি এবং ছত্রাক উভয়ই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই বাইরে থেকে এসেই চুল শুকিয়ে নিতে হবে।
গরম পানি ব্যবহার নয়
চুল ধোয়ার সময় কোনোভাবেই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার হার বাড়ে। খুশকির প্রাদুর্ভাবও বৃদ্ধি পায়।
হেয়ার প্যাক
শীতে ছেলেদের চুলের জন্য খুব ভালো একটি ভেষজ উপাদান হতে পারে মেহেদি। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী মেহেদির সঙ্গে দিতে পারেন লেবুর রস আর মধু। এই প্যাক চুলের গোড়া শক্ত করবে। আবার চুলের মসৃণতার জন্য এক টেবিল চামচ টকদই, একটি ডিমের কুসুম, আর একটা পাকা কলা চটকে বা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে মাথায় মেখে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
একুশে সংবাদ//স.টি//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :