শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁটের কালচে ভাবও প্রকট হয়ে ওঠে। এর বাইরে পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যতাপ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, থাইরয়েডের সমস্যা প্রভৃতি কারণেও ঠোঁটের চামড়া ফাটে।
জেনে নিন কীভাবে শীতকালে ফাটা ঠোঁটের যত্ন নেবেন।
গ্লিসারিন
ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে গ্লিসারিন ঠোঁটেও ব্যবহার করতে পারেন। গ্লিসারিনের সঙ্গে অল্প অলিভ অয়েল আর মধু মিশিয়ে ঠোঁটে মাখলে তা ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।
গোলাপের পাঁপড়ি
গোলাপের মতো কোমল ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপের পাঁপড়িই ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঠোঁটে গোলাপি ভাব আনতে সাহায্য করে। দুধের মধ্যে পাঁপড়ি রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে বেটে নিন। এই পেস্ট আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার পাতার ভিতর যে জেল পাওয়া যায়, তা ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। বাজার থেকেও অ্যালোভেরা জেল কিনতে পারেন। তবে আসল-নকল যাচাই করে কিনবেন। এই জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
সানস্ক্রিন
ঠোঁট যেন সব সময় ভেজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সারা দিনই কিছুক্ষণ পরপর লিপবাম বা ভ্যাসলিন-জাতীয় ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখতে হবে। বাইরে বেরোনোর আগে মুখের পাশাপাশি ঠোঁটেও সানস্ক্রিন দিন।
ম্যাসাজ
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে আমন্ড বা তিলের তেল দিয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এই তেলে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান ভেতর থেকে ঠোঁটের যত্ন নেয়। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে ঠোঁটের কালচে দাগ কমে আসবে। জোজোবা অয়েল, শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, নারকেল তেলও ঠোঁটকে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে শীতে।
ডিহাইড্রেশন
শীতে যেহেতু তৃষ্ণা পায় না, ফলে দেহে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। আর এই ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরের মতো আমাদের ঠোঁট দুইটিও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে করে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
একুশে সংবাদ//ই.টি//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :