বছরের যেকোনো সময়েই মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালের জন্য এটি আরও বেশি কার্যকরী। শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ সর্দি-কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগেন। এ সময় গলাব্যথা, খুসখুসে কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধুর জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু, ২ চামচ লেবুর রস এবং এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মধু খাওয়ার নানা উপকারিতার কথা-
এনার্জি বাড়বে
শীতকালে শরীরে এানার্জি অনেক কম থাকে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের এনার্জি ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত মধু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জ্বর, সর্দি ও কাশি সারবে
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেরই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে মধুর জুড়ি মেলা ভার।
গলায় ব্যথা দূর হবে
শীতকালে হামেশাই গলায় ব্যথা, গলা বসে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন খেতে হবে মধু। এর সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী
শীতকালে ত্বকের জন্য মধু দারুণ উপকারী। ত্বক নরম রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে এটি। নিয়মিত মধু খেলে ত্বকের জেল্লা ফেরে। শুধু খাওয়াই নয়, এই সময়ে ত্বকের মধুর প্যাক ব্যবহার করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
কাটা-ছেঁড়া দ্রুত সারে
শীতকালে শরীরের কোথাও কেটে গেলে খুব বেশি কষ্ট হয়। ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান দ্রুত ক্ষতস্থানসহ পুড়ে যাওয়া স্থান সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
শীতকালে অলসতার কারণে অনেকেই শরীরচর্চা করেন না। এতে ওজনও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় দ্রুত ওজন কমাতে বা শরীরে যাতে মেদ না জমে, এর জন্য নিয়মিত খেতে হবে মধু।
একুশে সংবাদ/স.টি///র.ন
আপনার মতামত লিখুন :