মিষ্টি একটি লোভনীয় খাবার। মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। দেখলেই খেতে মন চায়। কিন্তু মিষ্টি জাতীয় সব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয়। মাসে এক-দুবার খাওয়া স্বাভাবিক হলেও প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, যা মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
ফল
ফল এমন একটি খাবার যেটা পুষ্টিতে ভরপুর। প্রতিদিন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সব সময় হাতের কাছে বিভিন্ন ধরনের ফল রাখুন। মিষ্টি খেতে মন চাইলে ফল খান, কারণ এতে প্রাকৃতিক মিষ্টতা রয়েছে, যা চিনি খাওয়ার প্রবণতা কমায়। আম, কলা বা আঙুরের মতো মিষ্টি ফল দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে কম মিষ্টি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। চিনি বাদ দিয়ে নিয়মিত ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।এছাড়াও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আম বা আঙুরের মতো মিষ্টি ফল দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে কম মিষ্টি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট মিষ্টির বিকল্প হতে পারে। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করবে, আবার অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার প্রবণতাও কমাবে। এতে থাকা পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানসিক প্রশান্তি আনে এবং শরীরের প্রদাহ কমায়। তবে ৭০% বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট বেছে নেওয়া ভালো, এটি অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে।
টক দই ও মধু
টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য মধু ও ফল মিশিয়ে খেলে এটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। দইয়ে থাকা প্রোটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে।
খেজুর
প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও পুষ্টিকর হওয়ায় খেজুর মিষ্টির চমৎকার বিকল্প হতে পারে। চাইলে খেজুরের সঙ্গে সামান্য পিনাট বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবে কাজ করবে। তবে ক্যালোরির কারণে দিনে ২-৩টির বেশি না খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু সেদ্ধ বা বেক করে খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। এতে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। ওপরে সামান্য দারুচিনি বা চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে আরও সুস্বাদু করে খাওয়া যায়।
এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো নিয়মিত খেলে মিষ্টির প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ ধীরে ধীরে কমবে এবং শরীরও থাকবে সুস্থ ও ফিট।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :