ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। বর্তমানে ই-সিগারেট, ভেপ এবং হিটেড টোব্যাকো পণ্যের ব্যবহার তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে। অনেকের ধারণা, ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকর এবং ধূমপান ছাড়তে সহায়ক। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, ই-সিগারেট আসক্তি বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব
যদিও ই-সিগারেটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে এটি নিশ্চিত যে এর উপাদানগুলো বিষাক্ত। এতে থাকা রাসায়নিকগুলো ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি:
ই-সিগারেট মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ায়, যা নেশার অনুভূতি তৈরি করে এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়।এটি তরল ফরমালডিহাইড উৎপন্ন করে, যা রক্ত প্রবাহ ব্যাহত করতে পারে।এর থেকে নির্গত ফ্রি র্যাডিকেলস ফুসফুসের কোষের জন্য বিষাক্ত, যা ব্রঙ্কাইটিস ও শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও আকস্মিক কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ই-সিগারেটের ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা মারাত্মক শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের ১২১টি দেশ ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করেছে, যার মধ্যে ৩৯টি দেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভারত কঠোরভাবে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে।
তাহলে করণীয় কী?
ই-সিগারেট নিরাপদ নয় বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে তরুণদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি এবং এর ব্যবহার রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :