ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন প্রবীণ নাগরিকের মধ্যে ২৮ জনই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভুল ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং এর ফলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই প্রবণতা কেন বাড়ছে?
প্রতিদিনের সামান্য অসুস্থতা, যেমন জ্বর, পেটখারাপ বা মাথাব্যথা হলে এক-দু`দিনের ওষুধ কিনে খাওয়া সহজ উপায় বলে মনে হয়। সমস্যা মিটে গেলে কোর্স শেষ না করেই ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবাক হওয়ার বিষয় হল, এমন কাজ শুধু আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা করছেন না, বহু সচ্ছল বয়স্করাও এই ভুল করছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, শহরকেন্দ্রিক সরকারি হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আর এই বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচ অনেক বেশি। ফলে, অনেক বয়স্ক মানুষ মনে করেন, নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা করা অনেক সহজ। এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওষুধের নাম জানা এবং চিকিৎসার পদ্ধতি খোঁজার সুযোগও প্রবণতাটি বাড়িয়েছে।
বিশেষ করে, পুরনো প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিজেরাই ওষুধ কিনে খাচ্ছেন অনেকে, যা পরবর্তীতে বিপদজনক হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এমন প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। যেখানে তারা অজান্তেই ডোজ বাড়িয়ে বা কমিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন। যার ফলস্বরূপ, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও, অনেক বয়স্ক রোগী মনে করেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ওষুধ লিখে দেওয়া হয় যা সময় এবং অর্থের অপচয়। এর চেয়ে নিজেরাই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ভাল।
এজন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রবীণদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিকল্পনা এবং নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা উচিত। তারা যাতে নিজেরাই ভুল চিকিৎসা না করেন। এছাড়াও, জেরিয়াট্রিক কেয়ারগিভারদের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/ রু আ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :