উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায়, ত্বক তেলতেলে হয়ে যাওয়া, ব্রণ, র্যাশের সমস্যা খুব স্বাভাবিক বিষয়। ছাতা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে ত্বক কালচেও হয়ে যায়। সমস্যার সমাধানে অনেকেই মা-ঠাকুরমাদের টোটকায় ভরসা রাখেন।
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার দীর্ঘ কালের। ঔষধি গুণের জন্য আয়ুর্বেদেও হলুদের কদর রয়েছে। আবার শোনা যায়, আগেকার দিনে রাজকন্যারাও নাকি ত্বকের ঔজ্জল্য বৃদ্ধিতে কেশর ব্যবহার করতেন! হলুদ এবং কেশর—এই দুইয়ের মধ্যে আপনি কোনটি বেছে নেবেন, কেনই বা নেবেন?

হলুদের গুণ
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি অ্যান্টিসেপ্টিকও। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিহত করে। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেন, ‘‘ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতে হলুদ খুব উপকারী। এতে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকায় ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যাতেও কাজে আসে।’’ তবে তাঁরা সতর্ক করছেন, কাঁচা হলুদ ত্বকে সরাসরি না লাগানোই ভাল। কারণ, এতে কারও কারও অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতেও পারে। বরং হলুদের সঙ্গে দুধের সর বাটা, দই বা মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিলে উপকার মিলবে বেশি।
কেশর বা জাফরান হল ফুল। এই ফেলুর লালচে হলুদ রেণুই ব্যবহার হয় ত্বকের পরিচর্যায়। কেশরের মধ্যে ‘ক্রোসিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে। যে কারণে কেশরের রং লাল। এই উপাদানটি আসলে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা সহজে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে’ দেয় না। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে, বলিরেখা কমাতে, ত্বক টান টান রাখতে সাহায্য করে কেশর বা জাফরান। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেন, দুধে ভিজিয়ে জাফরান মাখতে। অথবা দই, মধুর সঙ্গে এটি মিশিয়ে নিতে।

নিয়মিত রূপচর্চায় বেছে নেবেন কোনটি?
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে দু’টি উপাদানই ভাল। তবে টাকার অঙ্কের হিসাব করলে কেশর অনেক বেশি দামি। হলুদ অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবেও কাজ করে। ফলে মুখে ব্রণ, দাগ থাকলে হলুদ বেছে নিতে পারেন। আবার উজ্জ্বল গাত্রবর্ণ চাইলে মাখতে পারেন কেশর। বিশেষত রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় হলুদের চেয়ে কেশর ভাল। পুরোটাই নির্ভর করবে ত্বকের ধরন এবং সমস্যার উপর।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :