বৌমা আমার ভারি মিষ্টি চাঁদপানা মুখ,
দেখলে পরে চোখ জুড়ায় গর্বে ফুলে বুক।
কাজল পরা ডাগর চোখে চাইলে আকাশ পানে ,
হুড়মুড়িয়ে মেঘবালিকা নামলো ধরার টানে।
অঝোর ধারায় পড়লো ঝরে মেঘবালিকা বর্ষা হয়ে,
মাঠঘাট সব জল থৈ থৈ শ্যামলিমায় গেল ছেয়ে।
হঠাৎ করে বৃষ্টি রাণী উধাও হল এক নিমেষে,
আগুন নিয়ে রবিমামা দেখা দিল পূব আকাশে।
ব্যাঙ শাশুড়ি চিড়বিড়িয়ে করলো বৌকে তুলোধুনা ,
আসলে ছেলে দেবে তোরে বিয়ে ছাড়ার পরোয়ানা।
হতচ্ছাড়ি অনামুখী বলেছিলি আনবি বৃষ্টি,
মুখপুড়ি তোর হয় না মরণ সৃষ্টি কর্তার অনাসৃষ্টি।
যেখান থেকে এসেছিস যা চলে যা সেই দেশে ,
"তোমাকেও মা সঙ্গে নেবো " বলল বৌ মুচকি হেসে ।
তুমি আমি দুজনেই অপয়া আর হতচ্ছাড়ি ,
দেরি কেন চলো এবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়ি ।
তুমিও তো বলেছিলে বোশেখ মাসে আনবে ভাদর ,
বর্ষার আশায় দিদিশাশুড়ি দিয়েছিলেন সোহাগ আদর ।
ব্যাঙ শাশুড়ি বৌয়ের কথায় পড়লো ভীষন ফাঁদে,
বুকে আয় মা এমন করে কি মায়ের কথায় কাঁদে।
স্বার্থপর লোকগুলো সব অনাবৃষ্টির কারণ ,
কবে থেকেই বলা আছে গাছ কাটা বারণ ।
ব্যাঙের বিয়ে না দিয়ে সবুজ কর বসুন্ধরা,
আসবে বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে দূর হবে দেশের খরা।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :