টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করবে। আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ক্রিষ্টাল বলরুমে ৩৪তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হবে।
এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে তার হাতে আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন। টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ ট্রাব’র সভাপতি সালাম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৪তম ট্রাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সঙ্গীত ও নৃত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
শফিক রেহমান এর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১১ নভেম্বর। তিনি দেশের একজন বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টিভি উপস্থাপক ও লেখক। তাকে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচলক হিসেবে মনে করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের পক্ষে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে কাজ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন যা সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমালোচনার জন্য পরিচিত ছিল। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকার যায়যায়দিনের ডিকলারেশন বাতিল করার পর তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনে অবস্থান করেন। ইংল্যান্ডে তিনি স্পেকট্রাম রেডিও-এর পরিচালক ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি ডেমোক্রেসি ওয়াচ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন-এ লাল গোলাপ নামক একটি টক শো উপস্থাপনা করতেন, পরবর্তীকালে যা বাংলাভিশনে প্রচার শুরু হয়। ২০০৯ সাল থেকে তিনি মৌচাকে ঢিল নামে একটি সাময়িকীর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে “অপহরণ ও হত্যা-চেষ্টা ষড়যন্ত্রের” অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি জামিন লাভ করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :