তিস্তার নদীর পানি প্রত্যাহারে ভারতের নতুন করে আরও দুটি খাল খননের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে নোট ভারবালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোববার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের খাল খননের বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে চিঠি পাঠানোর কথা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে কিনা সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নোট ভারবালের মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছি। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে কিনা আমি জানি না। আমরা নোট ভারবালের মাধ্যমে জানতে চেয়েছি।
নোট ভারবালে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটা হয়তো তাদের অনেক দিন আগেরই প্ল্যান। তবে এখনও কিছু তো হয়নি।
এদিকে গত ১৬ মার্চ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছিলেন, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠানো হবে।
একই দিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছিলেন, তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যমে খবর এসেছে, কৃষিকাজের জন্য পানি সরাতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খনন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ। এ উদ্যোগ ভারতের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কৃষি খামারকে সেচের আওতায় আনতে সাহায্য করবে।
একুশে সংবাদ.কম/ঢ.প.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :