ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেছেন, আজকের শিশু আগামী দিনের সুনাগরিক হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব তাঁরা গ্রহণ করবে। তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনায় শিশুদের বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে রয়েছে। শিশুদের কেবল দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতের উন্নত বাংলাদেশে ডেল্টা প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। শিশুদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে তাঁদের নিবন্ধন জরুরী।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পাবনা জেলার বেড়া পৌরসভার উদ্যোগে ৩০ দিনের মাঝে জন্ম নিবন্ধনকারী নবজাতক শিশুদের নগদ অর্থ, বৃক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক সনদ বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার এসময় নবজাতক শিশুদের মাঝে নগদ অর্থ, বৃক্ষ ও স্মার্ট নাগরিক সনদ বিতরণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, আজকের শিশুরা জন্মগ্রহণের সাথে সাথে দেশের নাগরিক পরিচয় পাচ্ছে। আর নিবন্ধিত শিশুদের রাষ্ট্রের সকল মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। শিশুদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি সারা বাংলাদেশেই এই ধরণের উদ্যোগ চালু হবে
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর গ্যাসের ব্যবহার করে জলবায়ুর ক্ষতি করা হচ্ছে। দিন দিন বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ুর এই ক্ষতি রোধ করতে, পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে ও সবুজ বেড়া তথা সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মানে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। শিশুদের লালন পালনের সাথে সাথে গাছের পরিচর্যা করলে সবুজ শ্যামল ও সুন্দর পরিবেশের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড: এস, এম. আসিফ শামস রঞ্জনের সভাপতিত্বে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ সবুর আলী ও নাগরিক কমিটি, বেড়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ আল মাহমুদ সরকারসহ স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল বিদ্যুত উৎপাদন, শিক্ষা বিস্তার, রেল লাইন নির্মান, পাতাল রেল নির্মান ও গ্রামীন মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তাদের চিন্তায় ছিল না। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের এ সকল উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বেড়া ও সাঁথিয়ায় যত রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে তার প্রায় সব ২০০৮ সালের পরে। চরবুনিয়া ব্রীজ হবে, এর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার সাথে বেড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা দ্রুতই এই উন্নয়নের ফলভোগ করতে পারবে। এই উন্নত ভাংলাদেশের দায়ত্বি নিতে শিক্ষার্থীদের তৈরি হতে হবে।
একুশে সংবাদ.কম/আ.জ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :