ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনাকে আমরা দুর্ঘটনা হিসেবেই বর্ণনা করবো। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনও মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘তদন্তের পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকালে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবাজারসহ প্রায় ৬টি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে তারা অনেক মালামাল ক্রয় করেছিলেন। সেগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অনেকেই কিছু মালামাল উদ্ধার করে সরিয়ে নিতে পেরেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে। যেকোনও দুর্ঘটনার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের পর আমরা আসল কারণ জানতে পারবো। অগ্নি-নির্বাপন, উদ্ধার কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সমন্বয় করেছেন। সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন— তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূনর্বাসনের কাজ করা হবে। জেলা প্রশাসনকে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়েছি— হতাহতদের এখনই ১৫ হাজার টাকা করে দেবেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে আগুনে পুড়ছিল বঙ্গবাজারের বেশ কয়েকটি মার্কেট। সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। অগ্নিকাণ্ডে হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :