ইলিশা-১ নামের গ্যাস কূপের দ্বিতীয় স্তরের টেস্টিং কার্যক্রম শুরু করেছে বাপেক্স। রোববার (৭ মে) ভোররাতে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে শুক্রবার (৫ মে) প্রথম স্তরের সকল টেস্টিং সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধায়নে রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাসপ্রোম এই গ্যস অনুসন্ধানে কাজ করছে। নতুন এই কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে আরও ৭২ ঘণ্টা টেস্টিং চালাবে বাপেক্স। এই কূপে মজুতের সঠিক তথ্য তৃতীয় স্তরের টেস্টিং কার্যক্রম শেষে জানা যাবে।
বাপেক্স ভূ-তাত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখন টেস্টিং চলছে। মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় টেস্টিং এর প্রথম স্তরে গ্যাসের সন্ধান মেলে। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার বিস্তৃত। এবার দ্বিতীয় স্তরের ৩ হাজার ২৭৫ মিটার গভীরতায় টেস্টিং কার্যক্রম চলছে। এখানে গ্যাসের প্রেশার খুবই ভালো রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং ভূ-তাত্বিক বিশ্লেষণে ভোলায় আরও ৫টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে ২টি, ভোলা নর্থ ক্ষেত্রে ২টি এবং ইলিশায় একটি কূপ খনন করা হবে।’
ভোলার শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা-১ নামের আলাদা তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট গ্যাস মজুতের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুটের বেশি বলে নিশ্চিত করেছে বাপেক্স। এর আগে গত ৮ মার্চ ইলিশা-১ নামের এ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল কূপটিতে প্রথম গ্যসের সন্ধান পায় বাপেক্সের প্রতিনিধি দল।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :