মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা ২০২২ জারি করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ ও ২৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে। এছাড়া মুমূর্ষ রোগীর অপারেশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। এর মধ্যে ঔষধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো হচ্ছে –
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সিলেট, শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-বরিশাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল-ঢাকা , বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-ঢাকা, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট- ঢাকা এবং হাসপাতাল ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-ঢাকা।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :