সিলেটে আজ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মহানগরের ৮ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি যে, মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। ইভিএম একটি আধুনিক এবং উন্নত ব্যবস্থা। এই ইভিএমে মানুষ উৎসব করে ভোট দিচ্ছেন।
আনোয়ারুজ্জামান আরও বলেন, নৌকার বিজয়ের ব্যাপারে আমরা আশবাদী। আজ সকাল থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি বেশ ভালো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- সিলেটের সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং ভোট শেষে নৌকা প্রতীকের বিজয় হবে।
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ভোটে যদি আমি নির্বাচিত না হই তবে যে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন তার কাছে আমি প্রথম ফুল নিয়ে যাবো। আমার দল আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং চর্চা করি।
এদিকে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে সকাল ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরণের কৌতুহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।
এবারের সিসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে মোট ১৯০টি। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা হলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার।
আজকের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি- এই তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে মো. আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে, মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীকে ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী সিসিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যেই।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :