AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তিনদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র


Ekushey Sangbad
বশির হোসেন বাবু
০৩:১১ পিএম, ৩ জুলাই, ২০২৩
তিনদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

কয়লার সঙ্কট কাটতে না কাটতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।

 

শুক্রবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্স কাজের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

রোববার (২ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটি, ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। ৪-৫ অথবা ৬ জুনের দিকে আবারো উৎপাদন শুরু করা যাবে।’

 

কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৫ জুন আরো একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ কয়লা আসবে। কেন্দ্রে কোনো কয়লা সঙ্কট নেই।’

 

২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

 

২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লি.-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।

 

রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।

 

২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশলা কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

 

এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সাথে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। এরপরে কয়লা সঙ্কট ও কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকবার উৎপাদন বন্ধ হলো এই কেন্দ্রটির।

 

এছাড়া ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!