AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ছয় মাসে দেড় হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:২৮ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২৩
ছয় মাসে দেড় হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার

প্রতীকী ছবি

দেশে গত ছয় মাসে দেড় হাজারের বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সদ্যসমাপ্ত জুনেই ২৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া অনেক ঘটনাই অপ্রকাশিত থেকে যায়।

 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

এতে বলা হয়, গত ছয় মাসে শারীরিক-মানসিকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৫২০ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ২২৩ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩২৬ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬০ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২১ কন্যাশিশুকে। শুধু সদ্যসমাপ্ত জুনে ২৬৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন কন্যাসহ ৫৩ জন। ৫ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৯২ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯ হাজার ৮৫০ জন।

 

নারী ও শিশু অধিকারকর্মী আইনজীবী সুরাইয়া পারভীন বলেন, ‘নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমার আইন থাকলেও তা মানা হয় না। এমনকি অনেক পাবলিক প্রসিকিউটরও উদাসীন দেখান। থানা পুলিশ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগীকেই নানানভাবে দোষারোপ করা হয়। ফলে ভুক্তভোগীর পরিবারের চাপেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাই বেশিরভাগ সহিংসতার ঘটনা অপ্রকাশিত থেকে যায়।’

 

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘যথাযথ আইনের অভাবে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান ও সহিংসতার শিকার নারীরা ন্যায়বিচার পান না। তাই আইন সংস্কার জরুরি।’

 

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা-নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রতিবন্ধক। নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। নারী নির্যাতন রোধে নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইন পর্যালোচনা করতে হবে। ভুক্তভোগীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে।’

 

একুশে সংবাদ/স/এসএপি

 

Link copied!