পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘জাইকা আমাদের দেশের প্রকল্পের ধীরগতিতে সন্তুষ্ট নয়। তবে আমাদের প্রকল্প প্রক্রিয়ায় যে সময় লাগে তাতে তাদের মাঝেমধ্যে অসুবিধা হয়। একই ধরনের কাজ তাদের দেশে দ্রুত হয়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি ও তার দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জাইকা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এরমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বড় অবকাঠামোতে তাদের আগ্রহ বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বুঝিয়েছি, আমাদের নিয়ম-কানুন আছে, এগুলো মানতে হয়, সংসদে জবাব দিতে হয়। আমরা এর মধ্যেও চেষ্টা করবো প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা চলমান প্রকল্প ঘুরে দেখে এসেছে। বিশেষ করে আড়াইহাজার প্রকল্প। এটির কাজ দেখে তারা সন্তুষ্ট। আরো বেশি করে প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাইকা। তাদের সম্পদ আছে, ইচ্ছাও আছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।’
হলি আর্টিসানের স্মৃতি স্মরণে তারা এসেছেন জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘হলি আর্টিসানে তাদের নিহত নাগরিকদের স্মরণ করতেই তারা এখানে এসেছে। আমিও তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এটি নিয়ে আমরা মর্মাহত। এমন কলঙ্কজনক ঘটনা যেন না ঘটে আমরা সতর্ক থাকবো।’
জাইকা কোন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি প্রথমত অবকাঠামো, দ্বিতীয়ত মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ। এছাড়া, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্য খাতেও তাদের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় জাইকার কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমি কয়েকটি প্রকল্পে পরিদর্শন করেছি, তা দেখে আমি নিজে সন্তুষ্ট।’
জাইকার সুদের হার বাড়ানো প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জাইকার সুদের হার বাড়ানো হয়েছে জাপান সরকারের সিদ্ধান্তে। আমার মতে, সুদের হার বাড়ানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের বিবেচনায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের জন্যই সুদের হার বাড়িয়েছে জাইকা। আর সুদের হারটি ঠিক করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে।’
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :