স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পনেরো আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সারা দেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
রোববার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ দিনটি পালনে কোনো নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এলে, তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আলাপ শেষে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্তি নিয়েছি।
তিনি বলেন, শোক দিবসে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এসব এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণসহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে যা যা প্রয়োজন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য শহিদদের বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা ধানমণ্ডি ও বনানীতে পুষ্প স্তবক অর্পণের সময় তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। জাতির পিতার সমাধিস্থলের অনুষ্ঠানসহ শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারাদেশ ব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠন আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
“অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ডুবুরিসহ ফায়ার সার্ভিসের সব ধরনের জনবল উপস্থিত থাকবেন। ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, বনানী কবরস্থান, টঙ্গিপাড়াসহ সারা দেশে র্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি থাকবে। সারা দেশব্যাপী নাশকতা প্রতিরোধে ও নিরাপত্তা রক্ষায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।”
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ আগস্ট সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে পতাকা উত্তোলনে যথাযথ বিধি মানা হচ্ছে কিনা; সেদিকেও নজর থাকবে। সামাজিকমাধ্যমে যাতে অপপ্রচার চালাতে না পারে, সেদিকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :