প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি প্যানেল ডিসকাশন শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজারটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সেসময় সবমিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন, পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আমরা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য দেশের জনগণের হাতে হেলথ আইডি কার্ড পৌঁছে দেওয়া। সে লক্ষ্যে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমরা ডিজিটালাইজড করছি। দেশে প্রত্যেকের জন্য একটি হেলথ কার্ড হবে। এতে সবার স্বাস্থ্যের সব তথ্য থাকবে। অন্যান্য দেশেও এভাবে হেলথ কার্ড থাকে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েছি। একইসঙ্গে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলোজিস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি, গ্যাসট্রোলিভার, চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করেছি। আমরা শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছি। কোভিডকালীন শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :