স্ত্রীকে নির্যাতন এবং একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে বেতন কমল জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এরশাদ উদ্দিনের। তিনি বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উপপরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন।
বুধবার (১২ জুলাই) ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে এরশাদ উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই বিধিমালার অনুযায়ী তাকে আগামী দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমন করা হয়। অর্থাৎ তিনি ষষ্ঠ গ্রেডের বেতন স্কেলের নিম্নতম ধাপ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতন পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই অবনমনকে ‘লঘুদণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন ধাপে ফিরে যাবেন। তবে তিনি বকেয়া কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গ্রেডে এরশাদ উদ্দিন এখন মূল বেতন পান ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা। নিম্নতম ধাপে সেটি কমে হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসাবে তার মূল বেতন কমবে ১৬ হাজার ৯৮০ টাকা।
চলতি বছর মার্চে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আগামী দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত থাকবেন বিসিএস ৩৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :