সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি বেড়েছে রাজনৈতিক অপরাধ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা পুরো পৃথিবীতে ঘটেছে কি না আমার জানা নেই।’
রোববার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) চার দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনীতির নামে আগুন দেয়া, মানুষের সম্পদ পোড়ানো, কমিটি পছন্দ হলো না তাই সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, মানুষকে প্রতিহিংসাবশত আক্রমণ তো রাজনৈতিক অপরাধ।’
দেশ, সমাজ-রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন রিপোর্টিং জরুরি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের প্রতি আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে সাংবাদিকদের। রিপোর্টিং সমাজ নির্মাণ, সামাজিক স্থিতাবস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন টেলিভিশন ছিল ১০টি, এখন ৩৫টি সম্প্রচারে আছে। পত্রিকা ছিল সাড়ে ৪০০, এখন ১২০০। তবে কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদ মাধ্যম আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদপত্র ও আইপি টিভির কোনটা যে আসল আর কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। আমরা এরইমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। কর্তৃপক্ষ কী টাকা পাঠাবে, উল্টো নাকি প্রতিনিধিরাই টাকা পাঠায়। এমনও দেখেছি। এগুলো এখন অনেকখানি কমে এসেছে।’
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :