দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা করবেন সরকার প্রধান।
রোববার (২০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর ব্রিকস সম্মেলন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ বিজনেস সামিট হবে। এরপরে আফ্রিকায় নিয়োগকৃত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দূত সম্মেলনে যোগ দেবেন। ২৪ আগস্ট ব্রিকস ডায়লগে অংশ নেবেন। ওইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
ব্রিকস সম্মেলনে অনেক সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে। কার কার সঙ্গে বৈঠক হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ব্রিকসে নতুন সদস্য পদ পাওয়া যাবে না। আমাদের এত তাড়াহুড়ো নেই। আমরা ব্রিকসের ব্যাংকে যোগ দিয়েছি। ব্যংকে যোগ দিয়ে আমাদের লাভ হবে। ওরা ৫ দেশকে সদস্য বাড়াবে। তখন কখন বাড়াবে জানি না।
তিনি আরো বলেন, ব্রিকসের সদস্য না হলেও আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দুয়ার খুলছে। এতে আমাদের লাভ হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা আগে বলেছিল ব্রিকসে আটটার মত দেশ বাড়াবে। এটা তাদের চিন্তাভাবনা আছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রিকসের সার্বিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ। তবে সদস্য হওয়ার আগেই এক বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আফ্রিকা অঞ্চলে আমাদের পরিধি বেড়েছে। তবে এটার সুবিধা পেতে একটু সময় লাগবে। কেনিয়া রুয়ান্ডা তে দুটি ওষুধ কারখানা তৈরি হয়েছে। ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিকসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বৈঠক অনিশ্চিত। তবে জি-২০তে মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তবে ব্রিকসে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে।
ভারতের বার্তা নিয়ে তিনি বলেন, ভারত পরিপক্ব দেশ। তারা যদি কিছু বলে থাকেন তা ভেবেচিন্তেই বলেছেন। এতে এলাকার শান্তি হবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :