ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অগাস্ট) করপোরেশনের গ্রীন রোড, মালিবাগ, নীলাম্বর সাহা রোড, হাজারীবাগ, ফরাশগঞ্জ রোড, বিকে দাস লেন, শ্যাম বাজার রোড, মুগদা, মানিকনগর, ত্রিমোহনী হাজীবাড়ি রোড, নয়াবাগ, দক্ষিণগাঁও, প্রশান্তিবাগ, সবুজবাগ, নিঝুমবাগ, ডেমরা, পশ্চিম মতুয়াইল ও পূর্ব ধোলাইপাড় এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন রোড এলাকায় ৫৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মালিবাগ এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসেইন খান ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নীলাম্বর সাহা রোড ও হাজারীবাগ এলাকায় ৬২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাসগঞ্জ রোড, বি কে দাস লেন ও শ্যাম বাজার রোড এলাকায় ৬১টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা ও মানিকনগর এলাকায় ৫৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিমোহনী হাজি বাড়ী রোড এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাগ, দক্ষিণগাঁও, প্রশান্তিবাগ ও সবুজবাগ এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিঝুমবাগ ও ডেমরা এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফিন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাতুয়াইল এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ধোলাইপাড় এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৫২৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১২ মামলায় সর্বমোট ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :