কোন পাম্পে শুধুমাত্র ডিজেল আবার কোনটিতে অকটেন-পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে। তাও পরিমাণে কম। ঢাকার প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে যানবাহনের লম্বা লাইন। বিশেষ করে যারা ভাড়ায় গাড়ি ও পাঠাও চালিয়ে থাকেন, এমন ব্যক্তিরা সবচেয়ে সমস্যার মুখোমুখি।
যদিও কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি পূরণ না হলে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য তেল উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের দাবি, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।
নিজেদের সেই দাবি আদায়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখায় ধর্মঘটে রয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশ। এ কারণে তেলশূন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প। ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
বাড্ডায় দুটো, যমুনা ফিচার পার্কের কাছে একটাসহ মোট তিনটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে এসে মিরপুর-১৪ থেকে বাধ্য হয়েই পেট্রোল নিতে হচ্ছে বলে জানান হাশেম নামের এক বাইকচালকার।
এমন একজন নয়, আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকও একই কথা জানিয়েছেন, যে কোন কোন পাম্পে অকটেন মিলছে না। শুধু পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে।
অকটেন না থাকার বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে দামি প্রাইভেটকার ও বিলাসবহুল গাড়িগুলো।অনেক পাম্প সকাল থেকে তেল বিক্রি করে দুপুরের দিকেই তেলশূন্য হয়ে যায়। তেল বিক্রি চাপ থাকায় এবং পেট্রোল টরিবহন বন্ধ থাকার জেরে এমনটি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :